জীবন পবিত্র জানি, অভাব্য স্বরূপ তার অজ্ঞেয় রহস্য-উৎস হতে পেয়েছে প্রকাশ কোন্ অলক্ষিত পথ দিয়ে, সন্ধান মেলে না তার। প্রত্যহ নূতন নির্মলতা দিল তারে সূর্যোদয় লক্ষ ক্রোশ হতে স্বর্ণঘটে পূর্ণ করি আলোকের অভিষেকধারা। সে জীবন বাণী দিল দিবসরাত্রিরে, রচিল অরণ্যফুলে অদৃশ্যের পূজা-আয়োজন, আরতির দীপ দিল জ্বালি নিঃশব্দ প্রহরে। চিত্ত তারে নিবেদিল জন্মের প্রথম ভালোবাসা। প্রত্যহের সব ভালোবাসা তারি আদি সোনার কাঠিতে উঠেছে জাগিয়া; প্রিয়ারে বেসেছি ভালো, বেসেছি ফুলের মঞ্জরিকে; করেছে সে অন্তরতম পরশ করেছে যারে। জন্মের প্রথম গ্রন্থে নিয়ে আসে অলিখিত পাতা, দিনে দিনে পূর্ণ হয় বাণীতে বাণীতে। আপনার পরিচয় গাঁথা হয়ে চলে, দিনশেষে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে ছবি, নিজেরে চিনিতে পারে রূপকার নিজের স্বাক্ষরে, তার পরে মুছে ফেলে বর্ণ তার রেখা তার উদাসীন চিত্রকর কালো কালি দিয়ে; কিছু বা যায় না মোছা সুবর্ণের লিপি, ধ্রুবতারকার পাশে জাগে তার জ্যোতিষ্কের লীলা।
কানাডার প্রতি বিশ্ব জুড়ে ক্ষুব্ধ ইতিহাসে অন্ধবেগে ঝঞ্ঝাবায়ু হুংকারিয়া আসে ধ্বংস করে সভ্যতার চূড়া। ধর্ম আজি সংশয়েতে নত, যুগযুগের তাপসদের সাধনধন যত দানবপদদলনে হল গুঁড়া। তোমরা এসো তরুণ জাতি সবে মুক্তিরণ-ঘোষণাবাণী জাগাও বীররবে। তোলো অজেয় বিশ্বাসের কেতু। রক্তে-রাঙা ভাঙন-ধরা পথে দুর্গমেরে পেরোতে হবে বিঘ্নজয়ী রথে, পরান দিয়ে বাঁধিতে হবে সেতু। ত্রাসের পদাঘাতের তাড়নায়, অসম্মান নিয়ো না শিরে, ভুলো না আপনায়। মিথ্যা দিয়ে, চাতুরী দিয়ে, রচিয়া গুহাবাস পৌরুষেরে কোরো না পরিহাস। বাঁচাতে নিজ প্রাণ বলীর পদে দুর্বলেরে কোরো না বলিদান।